চুমুকে বলা হয় রোমান্টিক সম্পর্কের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি প্রেম, উষ্ণতা, অন্তরঙ্গতা, অনুরাগ এবং সুতীব্র ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্যও দীর্ঘ ও নিয়মিত চুমু খাওয়া প্রয়োজন।

সেইক্ষণে বাতায়নে নীরব নির্জন

আমাদের দুজনের প্রথম চুম্বন।

দিক্‌-দিগন্তরে বাজি উঠিল তখনি

দেবালয়ে আরতির শঙ্খঘণ্টাধ্বনি।

অনন্ত নক্ষত্রলোক উঠিল শিহরি,আমাদের চক্ষে এল অশ্রুজল ভরি।

প্রথম চুমু খাওয়ার অভিজ্ঞতাকে এভাবেই বর্ণনা করেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

মানুষে মানুষে ভালোবাসার যে বন্ধন চুমুতে তা হয় আরও দৃঢ়। তাই শিল্প, চলচ্চিত্র, সাহিত্যে- সবখানে গাওয়া হয়েছে চুমুর জয়গান। বিভিন্ন গবেষণাতেও এসেছে, সুখী জুটির পেছনে চুমুর সঙ্গোপন ভূমিকা। দাম্পত্য সম্পর্কে ফিকে রঙ ঠেকাতেও বিকল্প নেই চুম্বনের।

চলমান ভ্যালেন্টাইন উইক বা ভালোবাসা সপ্তাহের শেষ দিন আজ। সমাপনীটা হয় চুমুর মধ্য দিয়ে। ৬ জুলাই আন্তর্জাতিক চুম্বন দিবস হলেও, প্রতিবছর ১৩ ফেব্রুয়ারিও উদযাপন করা হয় কিস ডে বা চুম্বন দিবস।

চুমুকে বলা হয় রোমান্টিক সম্পর্কের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি প্রেম, উষ্ণতা, অন্তরঙ্গতা, অনুরাগ এবং সুতীব্র ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্যও দীর্ঘ ও নিয়মিত চুমু খাওয়া প্রয়োজন। এটি সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বজায় রাখার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে। চুমুর সময় ভালো হরমোন হিসেবে পরিচিত অক্সিটোসিনের নিঃসরণ ঘটে, স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রাও কমিয়ে দেয়।

চুম্বন দিবসে প্রেয়সীকে চুমু খাওয়ার পাশাপাশি, সন্তান, বাবা-মা, বন্ধু কিংবা পোষা প্রিয় প্রাণীকেও চুমু খাওয়াতেও কোনো বারণ নেই। ভালোবাসা বা সম্পর্কের ধরনের সঙ্গে চুম্বনেও রয়েছে রকমফের।

হাতে চুম্বন

সঙ্গীর হাতে চুমু খাওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি আপনার কাছে কতটা অনন্য সেই বার্তা দেয়া হয়। এমন চুমুর উদ্ভব হয়েছিল ইউরোপে। রাজতন্ত্রের সময় রাজকুমাররা সবসময় তার সঙ্গীর হাতে চুম্বন করতেন।

কপালে চুম্বন

কপালে চুমু খাওয়া শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের প্রতীক। একে অপরকে চোখ বন্ধ করে যখন বিশ্বাস করা যায়, পরম আস্থা রাখা যায়, নির্ভর করা যায় নির্ভার হয়ে, তখন এ ধরনের চুম্বনের রীতি রয়েছে।

কপোলে চুম্বন

এটি বন্ধুত্ব, পারিবারিক সম্পর্ক ও স্নেহের সম্পর্ককে নির্দেশ করে। অভিবাদন বা অভিনন্দন জানাতেও কপোল বা গালে চুমু খাওয়া হয়।

নাকের ডগায় চুম্বন

নাকের ডগায় চুমু খাওয়াকে ফ্ল্যার্ট হিসেবে দেখা হয়। যে ব্যক্তি তার সঙ্গীকে নাকের ডগায় চুমু খাচ্ছেন, তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, তার প্রতি প্রবল আগ্রহ রয়েছে। তবে সেই আকাঙ্ক্ষিতকে কাছে পেয়েও নিজেকে পরিপূর্ণভাবে মেলে ধরতে পারছেন না।

অধরে চুম্বন

তীব্র ভালোবাসার প্রতীক এই চুম্বন, যা দুজন মানুষের মধ্যে ভালোবাসার চরম অনুভূতিকে প্রকাশ করে। ফলে অধরে প্রথম চুম্বনকে ‘স্পেশাল’ করে রাখতে চান অনেকে।